কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ): ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। রূপসী-গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর আজ বিলুপ্ত। এক সময় কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে সেই চিরচেনা খড়ের ছাউনির তৈরি ঘরের প্রচলন ছিল। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে ঝিনাইদহের খড়ের তৈরি ঘর বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এখন আর চোখে পড়ে না রূপসী বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত। বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও মিলেনি সেই সময়ের চিরচেনা ছনের তৈরি ঘর। বর্তমানে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল হালদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল।
গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত।গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরে বসবাস করত বলে জানান। উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন ব্যবহার করতো। একসময় প্রতিটি বাড়িতে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর ছিল।
খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর ছিল খুবেই আরামদায়ক। গরম কালে ঠান্ডা আর শীত কালে গরম অনুভূত ছিল। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে চিরচেনা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।